রূপসী রশ্মি
মহব্বত সেখ
রোজকার মতোই আমি আজও সকাল থেকে ছুটে চলেছি—কলেজ, টিউশন, আর বাড়ির দায়িত্ব পূরণের লক্ষ্যে। আমার ঘড়ি আর ক্যালেন্ডার যেন একে অপরের প্রতিযোগিতায়। এত কাজের মাঝে, কখনো কখনো মনে হয়, "জীবনটা কি শুধু দৌড়ানোর নাম? নাকি খালি আমার বেলায় ই এমন!"
সেই দিন সন্ধ্যায়, কলেজ এর পর টিউশন, আর তা শেষ করে স্টেশনে বসে ছিলাম আমি। চাঁদের আলোয় স্টেশনটা যেন অন্যরকম লাগছিল। এক মায়াবী আলোয় আলোকিত করছিলো সম্পূর্ণ স্টেশন কে; কিন্তু কি আফসোস!
আমাকে ছাড়াই। …
এমন টা ভাবছিলাম তখন আমি হঠাৎই খেয়াল করলাম, সামনের বেঞ্চে একটা মেয়ে বসে বই পড়ছে। বইয়ের উপর ঝুঁকে থাকা চেহারাটা দেখে মনে হলো, যেন সে নিজের ভেতরই ডুবে আছে।...
মিষ্টি চেহারার অধিকারিণী, শান্ত চোখে গভীরতা আর কোমলতা নিয়ে নিজের লক্ষ্যে যেন স্থির!
তার হালকা খোলা চুল আর ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি তাকে অপূর্ব দেখাচ্ছে! শাড়ির মাধুর্য আর স্টেশনের মায়াবী আলোয় সে যেন বাস্তব নয়,.. স্বপ্নের এক অংশ।
মেয়েটা হঠাৎ মাথা তুলল তারপর আমার দিকে যেন একদৃষ্টে স্থির ভাবে তাকেইয়েই রইলো আর তারপর বলল, "তুমি এত চুপচাপ কেন? আজকের দিনটা কি খুব কঠিন ছিল?"
আমি একটু বিস্মিত হলাম। এই প্রথম কেউ আমাকে সরাসরি আমার অনুভূতি নিয়ে প্রশ্ন করেছে! সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রম আর অর্থভাবের জেরে জীর্ণ হৃদয়ে যেন প্রাণ পেল!
আমি মৃদু হেসে বললাম, "হ্যাঁ, একটু কঠিনই। তবে এমনই চলে আসছে।"
মেয়েটি হেসে বলল, "তুমি জানো, আকাশ কখনো তার মেঘ গুলোকে দায়ী করে না। কারণ সে জানে, মেঘ গেলেই রোদ আসবে। তুমিও তোমার চাপগুলোকে মেনে নাও। একদিন ঠিক সব ঠিকঠাক হবে।"
তাঁর কথা গুলো ছোট্ট হলেও, তার প্রতিটি শব্দের জোর ছিল বটে! যা আমার হৃদয় কে ছুঁয়ে নিলো।মেয়েটি যেন আমাকে শিখিয়ে দিল কীভাবে ক্লান্তি আর দায়িত্বের মাঝেও ছোট ছোট আনন্দ খুঁজে নিতে হয়!
তার কথা শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম, যেন মুহূর্তের জন্য সমস্ত পৃথিবী থেমে গেছে শুধু তার শব্দের ওজন বুঝতে।
আমার এই ক্লান্ত, জির্ণ, একঘেয়ে অন্ধকার জীবনে যেন একটা অদৃশ্য রূপসী আলোর সংকেত!
এই মেয়েটা যেন আমার জীবনের সেই অদৃশ্য রূপসী আলো, যা অন্ধকারকে সরিয়ে আমায় পথ দেখাবে! যে আমার রংহীন জীবনে ভালোবাসার উজ্জ্বল রঙ নিয়ে অপেক্ষমান। তার উপস্থিতিতেই যেন আমার জীবন পূর্ণতা পাবে।
তখন আমি আমার বেঞ্চ থেকে উঠে গিয়ে মেয়েটির সামনে এক হাঁটু নামিয়ে প্রপোজের ভঙ্গিতে বসে মেয়েটিকে বললাম , "তোমার নাম না জেনেই আমি তোমাকে আমার অন্ধকার জীবনের রূপসী রশ্মি ভেবে নিয়েছি।"
মেয়েটি হেসে বলল, "রূপসী রশ্মি'র নাম জানতে হয় না, শুধু তার উপস্থিতি বুঝলেই হয়।"
এমন কথা শুনে আমি তার চোখের গভীরে ডুব দিতে যাচ্ছিলাম, ঠিক তখনই সকালের অ্যালার্ম বেজে উঠল, আর স্বপ্নের সেই মায়াবী মুহূর্তটা… চোখের সামনেই ভেঙে চুরমার হয়ে গেল।
সেই দিন সন্ধ্যায়, কলেজ এর পর টিউশন, আর তা শেষ করে স্টেশনে বসে ছিলাম আমি। চাঁদের আলোয় স্টেশনটা যেন অন্যরকম লাগছিল। এক মায়াবী আলোয় আলোকিত করছিলো সম্পূর্ণ স্টেশন কে; কিন্তু কি আফসোস!
আমাকে ছাড়াই। …
এমন টা ভাবছিলাম তখন আমি হঠাৎই খেয়াল করলাম, সামনের বেঞ্চে একটা মেয়ে বসে বই পড়ছে। বইয়ের উপর ঝুঁকে থাকা চেহারাটা দেখে মনে হলো, যেন সে নিজের ভেতরই ডুবে আছে।...
মিষ্টি চেহারার অধিকারিণী, শান্ত চোখে গভীরতা আর কোমলতা নিয়ে নিজের লক্ষ্যে যেন স্থির!
তার হালকা খোলা চুল আর ঠোঁটের কোণে এক চিলতে হাসি তাকে অপূর্ব দেখাচ্ছে! শাড়ির মাধুর্য আর স্টেশনের মায়াবী আলোয় সে যেন বাস্তব নয়,.. স্বপ্নের এক অংশ।
মেয়েটা হঠাৎ মাথা তুলল তারপর আমার দিকে যেন একদৃষ্টে স্থির ভাবে তাকেইয়েই রইলো আর তারপর বলল, "তুমি এত চুপচাপ কেন? আজকের দিনটা কি খুব কঠিন ছিল?"
আমি একটু বিস্মিত হলাম। এই প্রথম কেউ আমাকে সরাসরি আমার অনুভূতি নিয়ে প্রশ্ন করেছে! সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রম আর অর্থভাবের জেরে জীর্ণ হৃদয়ে যেন প্রাণ পেল!
আমি মৃদু হেসে বললাম, "হ্যাঁ, একটু কঠিনই। তবে এমনই চলে আসছে।"
মেয়েটি হেসে বলল, "তুমি জানো, আকাশ কখনো তার মেঘ গুলোকে দায়ী করে না। কারণ সে জানে, মেঘ গেলেই রোদ আসবে। তুমিও তোমার চাপগুলোকে মেনে নাও। একদিন ঠিক সব ঠিকঠাক হবে।"
তাঁর কথা গুলো ছোট্ট হলেও, তার প্রতিটি শব্দের জোর ছিল বটে! যা আমার হৃদয় কে ছুঁয়ে নিলো।মেয়েটি যেন আমাকে শিখিয়ে দিল কীভাবে ক্লান্তি আর দায়িত্বের মাঝেও ছোট ছোট আনন্দ খুঁজে নিতে হয়!
তার কথা শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম, যেন মুহূর্তের জন্য সমস্ত পৃথিবী থেমে গেছে শুধু তার শব্দের ওজন বুঝতে।
আমার এই ক্লান্ত, জির্ণ, একঘেয়ে অন্ধকার জীবনে যেন একটা অদৃশ্য রূপসী আলোর সংকেত!
এই মেয়েটা যেন আমার জীবনের সেই অদৃশ্য রূপসী আলো, যা অন্ধকারকে সরিয়ে আমায় পথ দেখাবে! যে আমার রংহীন জীবনে ভালোবাসার উজ্জ্বল রঙ নিয়ে অপেক্ষমান। তার উপস্থিতিতেই যেন আমার জীবন পূর্ণতা পাবে।
তখন আমি আমার বেঞ্চ থেকে উঠে গিয়ে মেয়েটির সামনে এক হাঁটু নামিয়ে প্রপোজের ভঙ্গিতে বসে মেয়েটিকে বললাম , "তোমার নাম না জেনেই আমি তোমাকে আমার অন্ধকার জীবনের রূপসী রশ্মি ভেবে নিয়েছি।"
মেয়েটি হেসে বলল, "রূপসী রশ্মি'র নাম জানতে হয় না, শুধু তার উপস্থিতি বুঝলেই হয়।"
এমন কথা শুনে আমি তার চোখের গভীরে ডুব দিতে যাচ্ছিলাম, ঠিক তখনই সকালের অ্যালার্ম বেজে উঠল, আর স্বপ্নের সেই মায়াবী মুহূর্তটা… চোখের সামনেই ভেঙে চুরমার হয়ে গেল।
Tags:
সাহিত্য-গল্প