নারীর দ্বারা পুরুষ নির্যাতন: এক অবহেলিত বাস্তবতা/এষা বেলা

 

নারীর দ্বারা পুরুষ নির্যাতন: এক অবহেলিত বাস্তবতা

কলমে: এষা বেলা


          কিছু কথা যা লিখা হয় না আর লেখা হলেও খুব অল্প মাত্রই লেখা হয়। যা অপ্রকাশিত থেকে যায় পুরুষদের অন্তরে। এক আকাশ ক্ষত নিয়ে বেঁচে থাকে লক্ষ লক্ষ মানুষ। যাদেরকে আমরা দেখি না আর দেখলেও বোঝার চেষ্টা করি না কি যন্ত্রণা নিয়ে সে বেঁচে থাকে। আইন এখানে ভীষণ বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। যে আইনের দ্বারা পুরুষরা বঞ্চনার শিকার সেই আইনের দ্বারস্থ হতে ওরা ভয় পায়।  
          আমাদের সমাজে কেবল নারীরা নির্যাতনের শিকার হয় তা নয়; পুরুষরাও নারীদের দ্বারা নির্যাতিত হয়। পরিবার, সম্পর্ক, কর্মক্ষেত্র এবং সামাজিক কাঠামোর মধ্যে বিভিন্নভাবে পুরুষরা মানসিক, শারীরিক ও সামাজিক নির্যাতনের শিকার হয়। যদিও পুরুষদের এই নির্যাতনের মাত্রা ও প্রকৃতি ভিন্ন হতে পারে, তবে এটি এক গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সমস্যা যা নিয়ে আজ কথা বলার ভীষণ প্রয়োজন।
          আসুন দেখি, নারীদের দ্বারা পুরুষদের নির্যাতনের বিভিন্ন রূপ।

মানসিক ও আবেগিক নির্যাতন:

          বর্তমানে এটি সবচেয়ে বেশি প্রচলিত নির্যাতনের ধরন, যা সাধারণত উপেক্ষিত হয়। নারীরা অনেক সময় পুরুষদের মানসিক চাপে ফেলে, অপমান করে বা অবহেলা দেখায়। কিছু সাধারণ উদাহরণ: স্বামীর সঙ্গে সংসার করেও অন্যে পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখে; যা একটি পুরুষকে চরমভাবে অপমানিত করা। সে নিজের স্বামীকেও ছাড়তে চায় না আবার অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটাতে চায় না। তখন এই স্বামী নামক বস্তুটি চরমভাবে অপমান বোধ করে। তার মনে হয় সকলে তার দিকে তাকিয়ে উপহাস করছে। তখন তার মেরুদণ্ড ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। সেই ব্যক্তি সমাজে মাথা উঁচু করে চলতে পারে না। শত চেষ্টা করেও যখন সে তাকে ভুল পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারে না; তখন সে নিজেই আত্মসমর্পণ করে নেয় আর কিছু বলার মানসিকতাই তার মধ্যে জন্মায় না। ফলে সে আস্তে আস্তে একটা জীবন্ত লাশে পরিণত হয়। এই সমাজে অনেক নারী আছে যারা স্বামীর কাছে যৌন তৃপ্তি পেলেও একাধিক পুরুষের সাথে যৌনতায় লিপ্ত থাকতে ভালবাসে। এরা সমাজের মান সম্মানকে উপেক্ষা করে চলে। এমনকি সংসারে অশান্তি হল না হল, স্বামী নামক বস্তুটি কষ্ট পেল বা না পেল, এর কুফল সন্তানদের মধ্যে পড়ল বা না পড়ল তাতে সে কোন কিছুই পরোয়া করে না। কেবল নিজের আনন্দ ছাড়া এই ধরনের মেয়েরা কিছুই বোঝে না। এরা কখনোই সংসার ত্যাগ করতে চায় না আবার তার স্বামী নামক মানুষটিকেও শান্তিতে রাখতে চায় না। সংসারকে নরকে রেখে এরা অন্য বুকে স্বর্গ খুঁজে বেড়ায়। এমন অবস্থায় কিছু পুরুষ এসব সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। কেউ কেউ সংসার ত্যাগ করে চলে যায়। আবার কেউ কেউ সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে সবকিছু দেখেও, সবকিছু বুঝেও মুখ বুজে সহ্য করে যায়। এমন কি স্ত্রী ও তার প্রেমিকের দ্বারা স্বামী নামক মানুষটি সবার অজান্তে কখন খুন হয়ে যায়। এমন দৃষ্টান্ত প্রচুর আছে। 

(চলবে)

Post a Comment

Previous Post Next Post