ঈদ মানে আনন্দ, খুশি, তবে মুসলিম উম্মাহর ক্ষেত্রে ও সামাজিক অবস্থান গত চিরাচরিত নিয়ম কানুনের ভিত্তিতে আভিধানিক পার্থক্য স্পষ্ট। ঈদের আনন্দ উপভোগ মুসলিম রিতিনীতির ভিত্তিতে হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়। ইসলামিক রিতিতে ঈদ কোরআন সুন্নাহর আলোকে মুসলমানদের বছরে দুইদিন
খুশির দিন বা ঈদের দিন নির্ধারিত। প্রথমে একমাস সিয়াম সাধনার পর ঈদুল ফিতর উদযাপন করার বিধান। একমাস সিয়াম সাধনার পর আল্লাহর দরবারে মাগফেরাত কামনা করে খুশির ঈদ উদযাপন করা ইসলামী বিধান।এটি সংযমের শিক্ষাদেয়। দ্বিতীয়টি হলো আত্মত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত ঈদুল আজহা, নিজের প্রিয় বস্তুকে স্রোষ্টার সন্তুষ্টির জন্য কোরবান যা আল্লাহর নির্দেশে ইব্রাহিম আঃ এর উপর আল্লাহর নির্দেশ পালনের জন্য ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত ঈদুল আজহা,এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অপরিসীম। এটাই ঈদুল আজহা, আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির মধ্যদিয়ে আনন্দ, খুশি, ঈদের আনন্দ। সবই আল্লাহ তাআলা কুরআনে বর্ণিত ও হাদীসের সাথে সম্পর্কিত বিধান।
তবে এখানে ধনী দরিদ্রের হক আদায়ের সুস্পষ্টভাবে বিধান রহিয়াছে। ঈদুল ফিতরের মাধ্যমে গরীব মানুষের আর্থিক বৈষম্য দূর করার জন্য ফেতরা, যাকাতের মাধ্যমে সামাজস্য আনার,ধনী, দরিদ্রের, উভয়ের ঈদ উদযাপন করার বিধান আল্লাহ তাআলা করে দিয়েছেন। কিন্তু আমারা মুসলিম উম্মাহর রিতিনীতি সঠিক ভাবে পালন করলে সমাজে বৈষম্য, বৈসাদৃশ্য থাকতো না, আমরা সঠিকভাবে ইসলাম পালন না করার কারণে ধনী, দরিদ্রের বৈষম্য, বৈসাদৃশ্য ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ঈদুল আজহা শিক্ষাও তাই। ঈদের আনন্দ, খুশি বস্তিবাসী থেকে পথকলি শিশুর সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে, ব্যক্তিকে প্রতিবেশীর দায়িত্ব পালন করে , রাষ্ট্র তার জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য ব্যক্তি বা রাষ্ট্র তার সঠিক কাজ না করার কারণে সমাজে বৈষম্য, বৈসাদৃশ্য, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।
ইসলামের সঠিক শিক্ষা নিয়ে, ব্যক্তিগত ভাবে এবং রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় সমাজের বৈষম্য, অসংগতি, অনিয়ম, দুর্নীতি দুঃশাসন, লুটপাট, বন্ধকরে সঠিকভাবে, ধনী দরিদ্রের উভয়ের সমতা বিধান করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেই। তবেই ঈদের সঠিক মর্মার্থ ফুটে উঠবে।