প্রকৃতি মায়ার দেশে
চারুন রথিক
এখানে এসে,
জীবনকে মেলে
ধরা যায়,
শালবনের
বৃষ্টিকে দেখানো যায় অভিমান,
আকাশকে দেওয়া
যায় চুম্বন
বলবো না
বলবো না করেও, বলা হয়ে যায় মধুবনের ছোটো গল্প।
এখানে এসে
তোমার বহিরঙে
মেলানো যায় আমার অন্তরঙ্গ
ঝিঁঝিঁ পোকার
ডাকে শুনতে পাই তোমার নুপুর।
এখানে এসে
নদীর জল
বাড়ে,
আমি এলিট
সীমান্তে দিই বাঁধ
পরিশোধ করি
ঝোড়ো হাওয়ার ঋণ।
হাতে সময়
কম থাকে, একটু দেরি হলেও শুনে রাখি আলেয়ার উপকথা।
এখানে এসে
লুকিয়ে রাখা
যায় এ বুকের আধখানা পাঁজর
নুন, লঙ্কা,
পেঁয়াজ, আর পান্তাভাত
বাঁশের খুঁটি,
মাটির দেওয়াল,
খড়ের ছাওনি
ঘেরা আমার শালুক স্বপ্নপুরী।
এখানে এসেই
তো শুরু হয়, অমৃতপ্রীতির রহস্য রোপন।
তাকিয়ে দেখা
যায়, শূন্য মাঠ।
ক্ষয়ুষ্ণ
শোকের নীরবতা দিয়ে মেপে নিই তার গভীরতা।
ঘোমটা ফেলে
তখন বেরিয়ে আসে কাশবনের রাজকন্যা।
আমি মাটির
ভাঁড়ে শীতঘুমের বিছানা ছেড়ে তাকে উপহার দিই এই বীরেন্দ্র শরীর,
মিটিয়ে ফেলি
জীবনের সব ঋণ।
বিশ্বনাগরিক