আনন্দ মাঠ
মোহাম্মদ আল্লারাখা
একটি অতি ছোট্ট সবুজ মাঠ বাানিয়েছি
সেখানে মাঝে মাঝে সবুজ ঘাস লাগাই,
হরেক রকমের কিছু দানাশস্য ছড়াই।
এগাঁয়ের ও ভিন গাঁয়ের কিছু চড়ুই আসে।
ওরা এই মাঠে খেলা করে , দানা খুঁটে খায়, আনন্দে কিচিরমিচির করে। আমিও ওদের দলে মিলেমিশে কিচিরমিচির করি। আমার ভালো লাগে। এটাই আমার আনন্দ মাঠ।
ওরা দেখছি কদিন থেকে আসছে না!
খবর নিয়ে জানলাম ওরা এখন অন্য মাঠে খেলছে। এমন মাঝে মাঝে হয়।
তখন ওরা এই গাঁয়ের আর ভিন গাঁয়ের ভাগ হয়ে পরস্পরের দিকে কাদা ছোড়াছুড়ির খেলা খেলে অন্য মাঠে। সে মাঠটি বিশাল আকারের। চাক্ষুষভাবে আপাতদৃষ্টিতে অদৃশ্য হলেও বড়ই নাকি সুদৃশ্য।
সে মাঠ তৈরি করার খরচা আছে। অনেক প্লান পরিকল্পনা লোক লস্কর অন্তরালে নিয়োজিত হয়।
ওরা ওদের ইচ্ছায় খেলে না। ওদেরকে খেলানো হয়, খেলা তৈরি করা হয়। ওরা সেটা জানতে পারে না, জানতে দেওয়া হয় না।
কাদা ছোড়াছুড়ি থেকে ঢিল ছোড়াছুড়ি, তারপর মারামারি বাড়াবাড়িও হয়।
ওরা মনে করে ওরা নিজে নিজেই এসব মহান কাজে ব্রতী হয়েছে।
ওখেলায় আনন্দ নাই, কষ্ট আছে। সুখ নাই, দুঃখ আছে। ভালোবাসা নাই, ঘৃণা আছে। তবুও তারা খেলে যায় অন্যের কারসাজিতে।
আমার আনন্দ মাঠে হরেক শব্দের দানাশস্যেরা পড়ে থাকে অনাদরে অবহেলায়
ওদের ফিরে আসার অধীর প্রতীক্ষায়।