বিতাড়িত এক
উপন্যাসিক-গল্পকার
ও কবির জন্য ‘দু'ফোটা
অশ্রু নীর’
হায় কথক
রাহুল পারভেজ
কু-পয়গম টি শোনা মাত্র
আকাশ চ্যুত হয়ে আমরা ছুটলাম
গারদ বন্দী এক কথকের কাছে
সংখ্যায় মাত্র সাত!
সেটা যে পর্যাপ্ত নয় তা অন্দরে
ঢোকা মাত্র বুঝলাম।
সঙ্গীকবি ফোন লাগালেন তাঁর এক
ছাত্রকে
যে কিনা দীর্ঘ দিনের বিধায়ক ও মন্ত্রীও বটে।
ইথারে ভেসে এল, আসছি স্যার,পাঁচটার
দিকে,
গাড়ির ড্রাইভার নাই!
আরেক প্রাক্তনী অবশ্য দ্রুত এসে
এক চা ঘরে ঘনীভূত পেয়ালায়
আর ফেসবুকে ডুব দিয়ে তল্লীন!
আমরা চাতকের দল ফটিক জলের
অপেক্ষাক্লান্ত সপ্তরথী ‘ঝুঁজকি আলোর রেখার’র কথককে
দেখব বলে শম্বুক বেগে ঢুঁকে পড়লাম
চৌকিতে।
চৌকিদার বললেন, ঐ আলো মুছে ফেলা
হয়েছে!
সন্ধ্যায় ছাড়া হবে কিন্তু ওর
বাড়ি যাওয়া ঠিক হবে না এখন।
ক’ দিন বাইরে বাইরেই থাক না!
হে কথক,
একটু লিখতে গিয়ে এখন তুমি নিজভূমে
হয়ে গেলে পরবাসী!
পবিত্র গ্রন্থ বনিকেরা চৌদিকে
ছড়াচ্ছে হিস হিস কালাচের বিষ!
এখন মাত্র ক’টা দিন, ক’টা মাস, ক’টা
বছর
কিম্বা জীবনভর দড়িহীন ছাগশিশুর মত
কিছু রক্ত লোলুপ নেকড়ে
ও উন্মাদ ষণ্ডের শিঙ্গের গুঁতোয়
তেহেস নেহেস
যত ঝিঙ্গাশাল ধান্যের শীষ!
তাই এই ঘোর অন্ধকারে ভিন আকাশের
তারাদের মত
কিম্বা ভিন ডহরে প্রলয় বুকে নিয়ে
গো-বৎস সম আপাততঃ
তুমি হয়ে যাও অন্ধ!
মনে রেখ, অন্ধ হলে প্রলয় থাকে না
বন্ধ
তোমার একটা কলম ছিনতাই হয়ে গেছে
কৃষ্ণ গহ্বর উত্থিত কিছু ইবলিশ আর ষণ্ড দ্বারা!
কিন্তু একদিন অনেক কলম গর্জে উঠবে
তখন?......