কবিতা
বিশ্বনাগরিক
চরুন রথিক
একটা নামহীন ইস্টিশনে থামতে চেয়েছিলাম আমি। রোদ পেকে সুগন্ধ ছড়ালে, পুবের হাওয়াটাকে কিছুটা পশ্চিমে, পশ্চিমের হওয়াটাকে কিছুটা পুবে ঘোরাবো বলে অঙ্গীকার করেছিলাম। মানি প্লান্ট লাগানোর তোড়জোড়ে সবাই যখন ব্যস্ত, আমি অর্ধনগ্ন ঐতিহ্যের শেকল ছিঁড়ে বাইরে আশ্বস্ত হয়েছিলাম নীল ডুবুরীর খোঁজে। আমার ভুল হয়নি, আমি ভুল করেছিলাম, আমি সময় মতো আমার নিজের নামটা দিতে পারিনি আজও। কান্নার নোনা জলে অ্যালকোহল মিশিয়ে, এ বুকের তেপান্তরে বয়ে গেছে যে সোনালী নদী, আমি তার পাড়ে বসে, পাথর ঘষে গায়ের রং তুলেছিলাম। লিঙ্গ ছিঁড়ে রেখেছিলাম গোল টুপিতে। টুপির টাপরে বিকেল হলে ফুটবল খেলেছিলাম। মুখের গর্বে মুক্তির আহুতি দিইনি কোনোদিন। আমি এখন মহাজাগতিক মুসাফির, আমার এঁটো বাতাসের রঙ্গমঞ্চে যাদের তিমি শিকারের প্রহসন, আমি জানি তারা পারবে না, তাদের দেবতারাও নয়, তাদের রাষ্ট্রনায়কেরাও নয়, সময় হলে শুধু আমিই দিতে পারি আমার নাম।