ধ্বংসের মুখে পৃথিবী
রোকিয়া
আকাশের বুকে
তীব্র গতিতে ছুটে চলেছে
হাজারো বোমা
মিসাইল বারুদের নিষ্ঠুর হুংকার
শতকোটি নক্ষত্র
ডুব দিয়েছে সোলামের বুকে,
দেশের শূন্যতা
প্রহর গুনে হেঁটে চলে
কয়েকটা
কুকুর কবরের পাশ দিয়ে।
নরকের হল
ঘরের দেওয়ালে বিষণ্ণ মৃত্যুর ছাপ
কার্নিশে
ঝুলে থাকা বাদুড়ের ঠোঁটে
বিশ্বাসঘাতকের
চুম্বন স্পর্শ করে;
আমি চেঁচিয়ে
উঠি কোথাও ঈশ্বর নেই!
পরিত্যক্ত
ধর্মগুলোকে দাঁড় করিয়ে রেখেছে
পোষ্টমর্টাম
ঘরের মিউজিয়াম স্টেজে।
স্বচ্ছ জলের
ভিতর কয়েকটা উলঙ্গ দেশ
হ্যারিকেন
জ্বালিয়ে রাষ্ট্রপতি উল্লাসের
মৃত গণতন্ত্র
তৈরি করল ,
ক্ষমতার
দাপটে হারিয়ে ফেলল মনুষ্যত্ববোধ
ছিন্ন ভিন্ন
হল মানবতার ভাতৃত্ববোধ ;
পৃথিবীর
ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে মহাযুদ্ধ
এই রণক্ষেত্রে
শিশু থেকে বৃদ্ধ বুকে
পৃথিবী ধ্বংসের
কম্পন ওঠে।
ভারসাম্যহীন
জনগণের দুই চোখ বেয়ে
রক্তাক্ত
দুঃস্বপ্ন ভেসে আসে..
দীর্ঘশ্বাসে
মিসাইল বোমা বারুদের গন্ধ ভাসে
পোড়া মাংসের
ছিদ্র থেকে সূর্য জাগে।
সভ্যতার
শকুন চিলেরা বিবেক হারিয়ে
গণতন্ত্রের
উচ্চস্থানে বসে লুটপাট করে
রক্তাক্ত
আঙিনায় নগ্ন নিত্য করে।
আমি ধিক্কার
জানাই সেই সব রাষ্ট্রনেতাদের
যারা দেশ
জয়ের নামে
পৃথিবীকে
ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে
মিসাইলের
হুংকার আর নয় আর নয়
এবার মায়ের
বুকে শান্তি চাই।