কে নেবে গো আমারে
ইসরাইল
সেখ
রূপহীন মৃত্যুর সাজে
জীবনের বাজি।
আজি প্রভাতে ওঠে
দেখলাম যমদূত এর বাড়ি।
জ্যোৎস্না রাতে প্রেয়সী
এসে হাজির হয়েছিল কাঁধে,
সৌন্দর্য ভুলিয়ে
হয়েছিলাম ভুবন হারার সাজে।
মিথ্যা কথার পিঞ্জরদ্বার
রেখেছে সে বানিয়ে,
মরনে অবরণে স্মরণে
রাখিব আমি ঢেকে।
আধারে বিলাসে ওঠেছিলাম
নেচে, রবির আলোর মতো,
আজই বিষপথে বন্ধনহীন,
তোমারে ভরিতে।
প্রভাতের হিংস্র
দ্বার-পানে এসেছে তার রথ,
উড়ে পড়েছে সমুদ্রের
ঢেউ তরণী পারে।
নদীর তীরে জলের তরঙ্গে
বাজিছে নতুন বীনা,
চরিতার্থ জীবন নিয়ে
আজ পথ হারা।
হৃদয়ে আজ তার বাজিছে
নতুন সুর, ভুলেছে সে সবই,
সৌরভে প্রাণ কাঁদিছে
মন, নীরবতা সনে।
বিজল পথে সজল হাওয়া
গেল বয়ে সে দিন,
ঢেউ এর মতো ভাষা
বাধন হারা আমারে এদিন।
***********
যাত্রী ওগো তুমি
ইসরাইল
সেখ
কথা ছিল যাবো মোরা
একই নদীর তীরে
অকারণেই ভাসিয়ে
দিলে দোরগোড়ার দিকে।
যে হাত ধরেছো তুমি
নতুন রঙের সাধে,
পারতাম না আমি সেরূপ
ভজন বেশে।
ঢেউয়ের মতো ভাষা
বাধন হারা পথিক আমি,
ধূলায় লোটিয়ে দিলে
আমার ললাট খানি।
তীর্থগামীর অবকাশে
ফিরি আজ দেশে দেশে,
দুর্ভিক্ষের দ্বারে
বসে, ভাবনা মোর বৃথা সাজে।
আজি বর্ষা গরজি চলেছে
নিবিড় লচোনে,
পুঞ্জে পুঞ্জে জ্বলে
হৃদয়ের কোন সমারোহে ।
আমারে ছাড়ি যদি
তুমি পেয়ে যাও সুখ,
সুখ সাগরের অন্তঃ
সনে ভাসুখ তোমার মুখ।
কতোবার ছুটি ছুটি
গেলেম তোমার মনের পানে,
কোথাও ওকি দেখা যদি
মিলে আমার সনে।
হৃদয়ে তোমার বাজিছে
নতুন বীনার সুর।
সেই বীনাতে মত্ত
তুমি , নাও যতো নিবে সুখ।
আমার চিত্তে তোমার
সৃষ্টি ফুটাওরে রবে,
হিসাব একদিন দিবে
তুমি খোদা তলার কাছে।
মনের ইচ্ছে শক্তি
যদি থাকতো একক হয়ে,
এক হতো মনের মাঝি
নিরবতার বেশে।
*******