কবিতা - সুদীপ্ত বিশ্বাস

 


পতিতা

- সুদীপ্ত বিশ্বাস

 

আমরা আছি ঠায় দাঁড়িয়ে রাস্তাটায়

কোন কুকুরে কত নরম মাংস চায় ?

সেসব খুঁজে আদর করে উজাড় করি

পশুগুলোর খামচানিতে শরীর ভরি ।

নতুন কত কামুক পশু রাতদুপুরে

খাবল মারে, যদিও আমি ঘুমকাতুরে ।

শরীর জুড়ে তাদের দাঁত-নখের দাগ

জেনে বুঝেও চলছি নিয়ে,পুষছি রাগ। 

মারব কাকে? তুলব কাকে কাঠগড়ায়

হাঁচড়কাটা ছন্নছাড়া দিন গড়ায়।

আমরা তুলি পথের পশু বুকের পরে

তবু সবাই ঘেন্না করে, ঘেন্না করে!

 

ধৈবতী  আলো 

 সুদীপ্ত বিশ্বাস

 

আলো,   ও ধৈবতী  আলো  

তুমি      প্রেমের শিখা জ্বালো।  

তুমি      করলে অভিমান      

প্রদীপ   কোথায় পাবে গান?

তখন    নামবে  অন্ধকার

নদীর     এই পাড় ওই পাড়

দুটিই     সমান অন্ধকার।

যখন     জমবে সঙ্গম

দেখব    কার যে কত দম

যদি      পাখি ঝাপটায় ডানা

তবে      উড়তে তো নেই মানা

চলো      মেঘে উড়ে যাই

চাল ডাল  সেদ্ধ করে খাই

যখন      হাঁস ফাঁসাবে প্রাণ

করব      অমৃত জল পান

যদি        রাতের পাখি ডাকে

তবে       সঙ্গে নেব তাকে

আলো,   ওগো  কোমল  আলো

তুমি       সবার চেয়ে ভাল  

তুমি       তারার দেশে থাক

রাতে       মিষ্টি করে আঁক  

হলুদ      জ্যোৎস্না মাখা চাঁদ

পাশে      মেঘকে ধরার ফাঁদ

তুমি       মধু বাতা জানো  

তুমি       জীবনে সুর আনো

তুমি       কবিকে দাও গান

তুমি       সবাই কে দাও প্রাণ

তুমি       খেয়াল খুশি জ্বলো  

তুমি        মিষ্টি কথা বল

তুমি       প্রেমিক ছেলের হাসি

তুমি       রাধার মোহনবাঁশি

তুমি      গাঁয়ের বধূর রঙ

তুমি       জানো অনেক ঢঙ

আলো,   ওগো  গান্ধার আলো

তুমি       খুশির প্রদীপ জ্বালো।

তুমি       দূর আকাশে থাকো

তুমি       সব্বাইকে ডাকো

তুমি       ঝিকমিকিয়ে জ্বলো

তুমি       ফিসফিসিয়ে বল

অনেক    জটিল জটিল কথা

তুমি        ভাঙ্গাও নিরবতা।

তুমি        সাহস যোগাও খুব

যখন       আঁধারে দিই ডুব

তুমি       যেই মিলিয়ে যাও

চোখে      আদর বুলিয়ে দাও  

যখন       অনেক অনেক বকে

ঘুমায়       ঘুমিয়ে যায় লোকে

আমি       তখন তোমায় ভাবি

তোমার    কাছেই আছে চাবি

সেই সে    যক্ষপুরীর দ্বার

খোলার     একলা অধিকার ...

Post a Comment

Previous Post Next Post