সুখের ছোঁয়া
সুখের ছোঁয়া পেয়েছি আজ গভীর রাতে--
পৃথিবী যখন একাকী বাসর সাজিয়ে বসেছে রাতের কার্নিশে
রাতের জোসনা যখন বিলিয়ে দিয়েছে তার গন্ধমাখা ঘ্রান
ঠিক সেই সময়।
ঠিক সেই সময় হৃদয়ের দুইশ তিন নম্বর কক্ষে।
জানালা খুলে ---
আকাশ তার অনুভূতি গুনে গুনে হয়রান
চাঁদ খুলে দিয়েছে শার্টের বোতাম
তারারা অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল দুষ্টুমিষ্টি চোখে।
হয়তো সুখ গুনে সুখ।
রাতের ঘাসগুলো --
বিশ্রাম নিচ্ছে ক্লান্তিক বিছানায়
জোনাকি এসে চুমো খায় ঘাসের ঠোঁট
পৃথিবী দিয়েছে সব দরজা খুলে, উদার মনে ;
বাস্তবের বিশাল চত্বরে।
প্রেমের সেমিজে লিখে দিয়েছি নাম ---
স্নেহের লালায় ;
কতো সহজেই অধরে রেখেছি অধর
ঠিক সেই সময় লাল টিপটা স্পর্শ চেয়েছিলো
কাতর ভাবে ; ইশারায়!
বাতাসের চুলগুলো----
উঁকি দিয়েছে সুখ বিছানায় ;
বিলিয়ে দিয়েছে শ্রান্তিক শীতলতা।
নদীর ঢেউয়ের মতো সুখগুলো উথালপাথাল করে
মনের সীমানায়।
আমি সপ্ত ডিঙায় সাজিয়ে রেখেছি ---
সেই সব সুখের ছোঁয়া।
অনুভবের বালতিতে ফেরি করবো
প্রকৃতির দ্বারে দ্বারে নক্ষত্র পাড়ায়।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~
২
তুমি সেই ফুল
তুমি সেই ফুল
হাজার জগতের মাঝে ফুটে থাকা কৃষ্ণগোলাপ।
তোমাকে না দেখে সকাল হয় না
তোমার গন্ধমাখা স্পর্শ না পেলে ঘুম ভাঙে না।
তুমি সকালের তুলশির মতোন
একবার ঘ্রান নিলে পরিত্র হয় দেহমন।
তুমি সেই ফুল
তোমাকে পেলে ফুলেরা হাসে
তোমাকে পেলে বেড়ে যায় ঐশ্বরিক সৌন্দর্য।
সৌন্দর্যের সরোবরে তুমিই একমাত্র কৃষ্ণগোলাপ।
তুমি সেই ফুল
মনের বাগানে ফুটে থাকা একমাত্র কৃষ্ণগোলাপ।
তুমি সেই ফুল
তোমাকে পেলে আলোকিত হয় সকালের রবি।
তোমার থেকে ধার নেয় রৌদ্রের দুপুর
বিকেলের গোধূলি বুক উজার করে
বসে থাকে তোমার প্রতিক্ষায়।
তুমি সেই ফুল
রাতেরা জোসনা বিলায় তোমার চোখের চাহনিতে।
চাঁদ হাসে তোমার শৈল্পিক হাসিতে
আর ; তারারা আলো বিলায় তোমার দৈহিক রূপের আলোতে
তুমি সেই ফুল
তোমাকে ছাড়া হয় না শরতে শিউলির মালা
ফুলেরা পারে না গন্ধ বিলাতে জগতের সাথে
হয় না কোনো উপাসনা।
তুমি সেই ফুল
তোমাকে পেলে দেবতা হাসে মুচকি ঠোঁটে
পূর্ণ করে শূন্য থালা আশীর্বাদে।
জগতের সব সুখ তোমার মাঝে
তুমি হাসলে পৃথিবী হাসে।
~~~~~~~~~~~~~~