পুণ্যস্নান
লিপিকা ঘোষ ভদ্র
আজ সোনার চাবি তুলে
দিলে স্বেচ্ছায়
মিলনের এই সুখরাতে
অমরাবতী উদ্যানের পারিজাত ফুল ।
পুষ্পবৃষ্টি ঝরছে
-ঝরে ঝরে পড়ছে এই আনন্দধামে অশোককাননে;
এর নাম বুঝি প্রেম?
আমি আজ অভ্র আবিরে--চন্দন
জাফরানে রাজেন্দ্রানী।
কুমকুম ঘ্রাণে মাতাল
করেছি তোমায় ।
আমি আজ এলোমেলো মন
এলোকেশী।
আর তুমি হবে জার্সিপরা
তরুণ তুর্কি
বিজয়ীর বেশে এসেছি
পূর্ণিমা ভালে
আমারই মৃগনাভি প্রেম
-মিলনের সুখে ---
আজ তুমি তুলে নাও
ভোগের নৈবেদ্য
প্রতিক্ষার আঁকিবুকি
আলপনা – আমার আগমন পথের কারুকাজ;
যে গোপন শিল্পে আমি
ঝিনুকের বুক থেকে মুক্তো নিয়ে করেছি উৎসর্গ ।
দিন যাপনের প্রহরান্তে
তোমার জণ্য আলপনা
জুড়ে ফুটিয়েছি গোলাপ বকূল –
বিরোধী পথের পাথর
সব সরিয়েছি নিয হাতে অকপটে যা ছিল রুদ্ধদ্বার ।
সেই রক্তহাতে আজ
মেহেদির রঙ
অজস্র বারুদ ফোটা
প্রহরে আজ বেজে উঠেছে বিসমিল্লা খানের সানাই
আজ এসেছ তুমি অনেক
প্রান্তর পেরিয়ে; কুয়াশা ছিন্ন সাদাঘোড়সওয়ার ।
তুমি এসেছ তোমার
রূপালি সৈকত বেয়ে আজ এই নক্ষত্রের আগুন জ্বলা রাতে;
মরূ ওয়েসিস, হরিৎবন--চাঁদের
রহস্যে হয়েছে রঙিন
মরুর বুকে ঝর্ণা
ফোয়ারা কালিয়াদমন হয়ে গেছে –
তবু দংশন?
চলো চলো নিয়ে চলো
আমার মৃত্যু নেই
স্রোতের ভেলায় ভেসে
যাবো ইন্দ্র সভায় –
অমরাবতী ইন্দ্রাণী
হয়ে তোমার সাথে-।
এর নাম বুঝি প্রেম?