ঘুমের জলতরঙ্গ
এবাদুল হক
মহাকাল আমাকে মহাঘুমের
দেশে
নিয়ে যাব বলে পরাজিত
বারবার।
মহাঘুমের দেশের ডানাকাটা
পরিদের
ওড়াউড়ি এখন লজ্জ্বা
দেয় একরাশ।
ধূসর মেঘের শরীর
বেয়ে এখন চিল উড়ে
চিলের দুই পাখনা
জুড়ে মেঘবতী ভারাক্রান্ত
জলকণা জলকেলি করে
বেড়াই অথচ স্থির।
চিলের চিলচিৎকার
মেঘকণা ডগবগে ফোটে
জলতরঙ্গ সুর টুংটাং
বেজে যায় মহাসমুদ্র গর্জন।
জলধর হাহাকার করে
গভীর নিঃশ্বাস ঘনিষ্ঠ হয়
নিঃশব্দে প্রহরের
প্রথম আকাশ মোমের মত গলে।
আর নিবিড় পাতার গহীন
মর্মদেশে
আত্মগত মুগ্ধতার
ঘন আবেগ আবেশে
আমার আত্মার বামহাত
ধারালো অস্ত্র তুলে নেয়।
তারপর ঈশ্বরের আত্মাকে
বল্লমের ডগায় গেঁথে
অচিরেই ছেড়ে দেয়
মহাঘুমের দেশে।
তবু ঘুম আকাশগঙ্গার
পথ ধরে নেমে আসে
আমার রক্তের প্রবাহ
প্রশ্বাসে দ্রবীভূত হয়।
চৈতন্যের গহন অঞ্চলে
ঘুমেরা নেমে আসে
ক্রমশ নেমে আসে ঘুম
- আমাদের নিজস্ব ঘুম।
Tags:
হৈমন্তিক সংখ্যা - কবিতা