কুঁদে পাওয়া নারীর বিচিত্র খেলা
রুমা পারভিনারা
নারী! তোর কত শুধা বল?
তোর কত চিহ্ন!
নাকি ঈশ্বরের রংতুলিতে আঁকা তুলোট কাগজ স্বরূপ!
কি বিস্ময়! নাকি তোর চিহ্নর প্রতীক,
শুধু তোর এই চিত্রায়িত কায়া!
তোর কত চিহ্ন!
বক্ষযুগলের উপর পার্শ্বে,
সে নাকি এক ঈশ্বরের বাদামী রঙের ছোঁপ!
নারী! নাকি তোর ঊরু যুগল- দুই পদ্ম পাতার মত চকচকে দুই পরগণা!
নারী! তোর দুই পরগণার নাকি ঠিকানাও আছে?
এক সতীত্বের, অন্য সতিত্বহীনতার?
নারী! তোর পৃষ্ঠ নাকি এক
পালঙ্কের উপর বিছানো
মখমলের নরম বিছানার সম!
তোর চোখ দুটো নাকি কত স্বপ্নের নেশা ধরায়
সমাজপতি পুরুষতান্ত্রিকতার!
তোর দুই হস্ত!
সে তো নাকি দুই দুয়ার-
একখানি নেশা ধরানোর পথ উন্মুক্ত করার,
আর অন্যখানি রুদ্ধ করার?
তোর নাসিকা!
সে তো নাকি তুলনারহিত-
চিকন, নেশা জাগানো বাঁশির সুর তোলা যন্ত্র!
তাহলে আর রইল বাকি কি পদ পাদ্ম?
সে তো নাকি নেশার বুদবুদের আগমনের রেশমরুট!!
বাহ! সত্যি নারী! ঈশ্বর কৃপণতা ভুলে গেছে
তোর সৃষ্টির তদক্ষণে।
ধন্য নারী! ধন্য তুই!
ঈশ্বররে সৃষ্টির মাঝারে ।
জগৎবাসী কুঁদে পেল তোর বিচিত্রখেলা,
বিচিত্র রূপ!
বিচিত্র বিচিত্র ঠিকানা।
তোর ঠিকানার নাইকো তুলনা।
তোর ঠিকানার বিচিত্রতার মাঝে কত যুগের,
বর্বরচিত আর্তনাদ! আত্মগ্লানি!!
তদপেক্ষাও তুই শ্রেষ্ঠ!
নাকি! তোর বিচিত্র চিত্রিততার কত খেলা।।
কুঁদে পাওয়া তুই সেই নারী!
তোর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে,
কুঁদে পাওয়া নারীর,
কত বিচিত্র খেলা!!