কাব্যজীবনী

 হা-শিরুম মা-হি

(কাব্য ইতিহাস আঙ্গিকে প্রিয় নবীজির(সাঃ) কাব্য জীবনী)

আব্দুল্লাহ আল আযীয

 

        বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

 

"তিনি মহান আল্লাহ, যিনি পাঠিয়েছেন তাঁর প্রেরিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে হিদায়াত (পথনিদর্শ) ও সত্য দ্বীন(জীবনবিধান) সহকারে; যাতে প্রকাশ্য বিজয়ীরূপে স্থাপন করতে পারেন দ্বীন ইসলামকে সব দ্বীনের(বিধান ও মতবাদ) উপর;আর সাক্ষী ও সাহায্যকারী হিসাবে আল্লাহই যথেষ্ট।"(সুরা-৪৮ আল ফাত্হা,আয়াত: ২৮)।

         (১ম কবিতা)

        প্রেক্ষিত

 

ভবনে ভূবন ও আকাশে জমীনে সমূহ সৃষ্টিকুল

কেউই নয় কভূ জ্ঞানে সম্মানে মানুষের সমতুল।

সৃষ্টির মাঝে শ্রেষ্ঠ এ মানুষই আল্লাহর প্রতিনিধি

বিরচিত তাইই তাহার কারণে সমূহ বিধান-বিধি।

মানুষের তরে সৃজিত খোদার যাবতীয় নেয়ামত

মানুষসৃজনে মকসদে আছে আল্লাহরই ইবাদত।

যুগে যুগে তবু ভুগেছে মানুষই দ্বিধায় ও সংশয়ে

পয়গম্বরও তাইই হয়েছে প্রেরিত বিধানসমন্বয়ে।

আল্লাহর দ্বারা মনোনীত তাঁরা মাসুম ও নিষ্পাপ

মনোনীত তাঁরা বিশ্বধারাতে নিবারিতে পরিতাপ।

বারেবারে তবু ভুলেছে মানুষ আহৃত জীবনবানী

তাই বার বার আঁধার হয়েছে জীবনের ধরাখানি।

পাপে পঙ্কিল হয়েছে জীবন মানুষেরই পাপাচারে

জীবনপথে বিপথগামীতা আসিয়াছে বারে বারে।

আল্লাহর দ্যূত এসেছে যখন মানুষে পেয়েছে পথ

জেনেছে মেনেছে মানুষ তখনই শাশ্বত অভিমত।

এমনই ভাবে আল্লাহপাকের কলেমার বানী লয়ে

সোয়ালক্ষ নবী আসিয়াছে পথেরই দিশারী হয়ে।

তাঁহাদের পথে চলিয়া মানুষে মিলেছে চলার সুখ

তাঁরা চলেগেছে অন্ধাবেশে আবার ঢেকেছে মুখ।

পরিশেষে তাই সকল নবীরই সব গুনাবলী নিয়ে

ঈমামুন্নাবী আসিলেন দুনিয়ায় খাতামুন্নাবী হয়ে।

জীবনবিজয়ী দ্বীনের নকশা আঁকিতে জগতময়

পৃথিবীর এই ধ্বংসস্তূপেতে হইলো তাঁহার সমন্বয়।

মানবতারই রূপকার হইয়া মানুষেরই প্রয়োজনে

জীবনদীক্ষা দিতে আসিলেন মানুষের মৃতপ্রাণে।

জাহেলিয়াতের অন্ধকারের অচেনা বিদিশারাতে

ভ্রান্তির মোহ মুছিয়া দিতে এলেন কুরআন সাথে।

সাবধানকারী সুসংবাদদাতা হয়ে এলেন সত্যসহ

একত্ববাদের সাক্ষ্যে দিলেন চিরসত্যের সমারোহ।

যাহা অসত্য,নয় সুন্দর,তাহা করিবারে পরিত্যাগ

ধরনীর বুকে এলেন লইয়া সত্য সত্যের অনুরাগ।

ন্যায় নয় যাহা,যাহা অপরাধ মন্দ ও ঘৃনিত কাজে

ধরনীর থেকে মুছে দিতে তাহা এলেন ধরনীমাঝে।

ন্যায়-সুন্দর পরোপকারীতা ও কল্যাণকামী মতে

অবহিতি আর অনুপ্রেরণাও দিলেন একই সাথে।

কাম-ক্রোধ-মদ-মাৎসর্যে ও মোহে আর লালসায়

এলেন ক্লিশিত মানুষে আনিতে মানেরই মর্যাদায়।

বিশ্বজনীন মানবতাবাদে পূর্ণতম কল্যাণব্রত নিয়ে

রাহমাতুল্লিল আলামীন নবী এলেন করুনা হয়ে।

ইহজাগতিকী ও পরজাগতিকী কল্যণকামনাতে

এলেন মানুষে পৃক্ত করিতে মানবিকতারই সাথে।

চারিত্রিকতার উৎকর্ষে মানুষে করিতে মানুষসম

আসিলো ধরাতে শিক্ষক হয়ে আল্লাহর প্রিয়তম।

আল্লাহর প্রেম মানুষের প্রাণে এঁকে দিতে সাক্ষরে

আনুগত্য দীপ্তদীক্ষা দিলেন সবার অন্তরে অন্তরে।

আল্লাহর ও তাঁর বান্দার মাঝের সেতুবন্ধন-রীতি

গড়িয়া তুলিতে গড়িলেন স্বীয় প্রেম আর সম্পৃতি।

শুভবার্তার বাহক আর সাক্ষী হইয়া এলেন তিনি

পৌঁছে দিলেন মানুষমানসে খালিকের শ্রেয় বানী।

আল্লাহর দে'য়া রহমত আর কৃপা ও করুনা লয়ে

দুনিয়ায় তিনি এলেন জ্ঞানেরই বিতরনকারী হয়ে।

স্বীয় মনোনীত শান্তিরই ধারা জগতে পৌঁছে দিতে

শ্রেষ্ঠ রাসূলে পাঠালেন প্রভূ ভ্রান্তিরই এ দুনিয়াতে।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post