কথা রাখেনি কেউ-(৬৩)
নন্দ দুলাল রায়
কথা রাখেনি তো সে-ই
ছোট্টবেলার পুতুল খেলার সাথী।
কথা রাখেনি পল্লী গাঁয়ের দুরন্ত কিশোরী।
কথা রাখেনি ইট-পাথরে ঘেরা
ঐ শহরে বড় হওয়া বড় লোকের বেটি-বৈশাখী।
কথা রাখেনি স্কুলের সরলমতি সেই সহপাঠী।
কথা রাখেনি কেউ দুঃখ বেদনার হয়ে ব্যথী।
একসাথে পথচলার কলেজ
পড়োয়া বন্ধুটি
কথা দিয়ে সেও তো সে কথা রাখেনি।
কথা রাখেনি নবযৌবনা টলমলে রূপসী সেই ষোড়শী।
বিশ্বান করে যাকে
ভালোবেসেছি
কথা দিয়ে সেও তো কথা রাখেনি।
হাত ধরে যাকে ঘরে এনেছি-কথা রাখেনি সেও।
এ যাবৎকাল প্রকৃতঅর্থে হ'য়ে দুঃখের সাথী
কেউ তো কারোর কোনোই কথা রাখেনি।
কথা রাখেনি এই নিঠুর প্রকৃতি
তাই তো নদীর বুকে পড়েছে নিরাশার বালুর চর।
প্রমত্তা নদী আজ ভরে ছোট্টখাল।
মেঘে মেঘে অনেক তো বেলা হ'ল
আর কবে কে কথা রাখবে কা'র,
আমি তো করেছি প্রতীক্ষা দীর্ঘকাল!
মিছেমিছি কথা দিয়েছে অনেকেই
সারাজীবন তাই তো রইলো দু'চোখে
কেবলই দুঃখ শোকের ঢেউ।
কথা দিয়ে সে কথা রাখেনি তো নিঠুর পৃথিবীর কেউ!
নান্দনিক উপস্থাপনা, অনেক ভালো লেগেছে ।শুভ কামনা রইল প্রিয়কবি ।
ReplyDelete