বর্তমানে নারীদের স্বাধীনতা, নারীদের অধিকারের
নামে বিশ্বের প্রায় সকল দেশ নারীদের অনুকূলে যে সব আইন পাশ করেছে বা করে যাচ্ছে তা
নারী স্বাধীনতার নামে নারী স্বেচ্ছাচারিতাকেই গুরুত্ব দিচ্ছে । নারী মুক্তির নামে নারীবাদীরা
পুরুষ নিপীড়নের ধ্বংসাত্মক খেলায় মেতে উঠেছে । যার ফলে পুরুষের জীবন যাত্রায়, এমন কি
সাংসারিক জীবনে এসব আইন কন্টকাবৃত শিকলে পরিনত হয়েছে । নারীদের পক্ষে অনেক আইন পাশ
হয়েছে যেগুলি পুরুষদের মতামত, তাদের কথা, তাদের আকুতি, তাদের হতাশা সব কিছুই চাপা পড়ে
যায় । তাদের উপর নারীর মানসিক ও দৈহিক নির্যাতন, অত্যাচার, নিপীড়ন, মিথ্যা মামলার ভয়,
সামাজে আত্মমর্যাদা হারানোর ভয় – এসব আতঙ্ক একজন পুরুষের জীবনে কাজ করে যাচ্ছে । কারণ
চোখের সামনে অনেক পুরুষ বিনা অপরাধে আজীবন জেল খেটে যাচ্ছে । অনেক পুরুষ পরাজয়ের গ্লানি
নিয়ে বেঁচে আছে আজীবন । অনেকে এসব সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য
হচ্ছে ।
আজ সময় হয়েছে নারীবাদের নামে পুরুষ নির্যাতন, পুরুষ পীড়ন – এসবের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার, প্রতীবাদ করার । নারী-পুরুষ উভয়ের প্রতি সম দৃষ্টি সম্পন্ন আইনের জন্য আন্দোলন করার আর যার কারনেই এই পুরুষ কণ্ঠের জন্ম ।
==============***=============
আর কতবার
আজিজুল হাকিম
~~~~~~~~~~~~~~
আর কতবার
আমার অশান্ত উষ্ণ
নিঃশ্বাস তোমার ঘাড়ের ওপর ফেললে
তুমি অন্যের কথা
ভাববে না ?
আর কতবার
তোমার কামনাতুর ঠোঁটে আমার ঠোঁট পিঁপড়ের মতো লেগে থাকলে
তুমি অন্যের পানে
চায়বে না ?
আর কতবার
আমার জিভের লালায় তোমার তোমার তৃষ্ণার দেহ সিক্ত হলে
তোমার দেহের একচেটিয়া অধিকার কেবল আমারই থাকবে ?
আর কতবার
রতি জ্বালায় গলিত লাভা তোমার ঊরুদ্বয়ের মাঝে প্লাবন আনলে
তুমি কেবল আমাকেই
চায়বে ?
আর কতবার
আমার কামনার আগুনে
উদ্দীপ্ত করলে
তুমি অন্যের দিকে
অভিলাষী চোখে চায়বে না ?
আর কতবার
তোমার যৌবনকে আমার যৌবনের শিহরণ দিয়ে নাস্তানাবুদ করলে
অন্যকে দেহদান করবে
না ?
আর কতবার……………? আর কতবার……………?
আর কতবার, বলো ?
~~~~~~~~~~~~~~~
পৃথিবীর প্রতি
আজিজুল হাকিম
**************************
হে সুন্দর মায়াবী পৃথিবী,
তোমার দিকে তাকাতে ঘেন্না হয় ;
এমনকি তোমার বুকে বাঁচতেও ।
তুমি ছলনাময়ী ।
আমাকে মায়ার আঁচলে বাঁধতে চাও
কেবল তোমাকে মায়াবীর মোড়কে
সুন্দর করে সাজাবার জন্য ।
এক সময় তোমার লাবণ্যময়ী রূপ-ঐশ্বর্যের টানে
পুতুলের মত আমি নেচেছিলাম
তাই তো তোমার জন্যে
আমার রক্তমাংস ঘাম অকুন্ঠিতভাবে ঝরিয়েছি
রাতের শান্তিকে বিসর্জন দিয়ে
অনিদ্রায়, আনাহারে, নিরাশ্রয়হীনভাবে রাত কাটিয়েছি
বড়দের দেয়া ছিছিকারকে তুড়ির ডগায় উড়িয়ে দিয়েছি ।
অনেকে বলেছিল, “পৃথিবীকে বিশ্বাস করিস না -
ও স্লো মসনের বিষধর সাপ ।
দেখবি, তোকে তিলেতিলে দংশন করবে
সেই ছোবলে তোর রক্ত, সারা দেহ নীল হয়ে যাবে ।
তোর রক্ত মাংস খাবে
তারপর তোর হাড়ে বসে ডুগডুগি বাজাবে ।
ওর মোহ জাল ছিঁড়ে পালিয়ে আয় ।’’
তখন আমি পারিনি পালিয়ে আসতে ।
নানী বলেছিলেন, “তুই আগুন নিয়ে খেলতে গেলি তবে ?
আমি বলেছিলাম, “আগুনে জ্বলতে চাই –
পুড়েপুড়ে আমার অন্তর হোক খাদহীন খাঁটি সোনা ।”
তখন কিন্তু আগুনের আঁচের ফিলিংসটা বুঝতাম না ।
দূর থেকে দেখে ভাবতাম, ওটা আস্বাদন করতে খুব মজা -
তাই শিশু মুষার মতই আগুনের পিন্ডটা মুখু গুঁজে নিলাম।
হে সুন্দরী, মায়াবী পৃথিবী !
তোমার লাবন্যতার আড়ালে
এক রাক্ষসী নারীকে খুঁজে পাই ।
কুৎসিত, জঘন্য ডাইনীর মত মনে হয় তোমায়
তোমার দিকে তাকাতে ঘেন্না হয় ;
এক আকাশ অন্ধকার তৈরী হয় তোমার ছোঁয়ায় ।
তোমাকে পতিতালয়ের বেশ্যা মাগীর মত মনে হয়
আমি পারবনা, তোমার প্রবঞ্চনাপূর্ন ডাকে সাড়া দিতে ।
আমি পারবনা কুকুর, শিয়াল আর শুয়োরের সাথে
তোমার দেহে ভাগ বসাতে ।
১৮ - ১৯/১০/২০১৭
নিজ বাসভূমি