মহিতোষ গায়েন
********
আজকাল ব্রাহ্মণেরা ও তাঁদের গোলাম ঢ্যামনারা হিন্দু হিন্দু বলে সবাইকে যে মুর্খ বানাতে চেষ্টা করছে তার কারণ সবাই কি ঠিক করে জানেন?
ইংরেজ শাসকগোষ্ঠী ভারতে প্রায় 200 বছর পর্যন্ত
শাসন করেছিল। ১০০ বছর যেতে না যেতেই ব্রাহ্মণেরা ইংরেজদের তাড়ানোর জন্য কেন কোমর বেঁধে
আন্দোলনে নেমেছিল এবং গোলামদেরকে উস্কে দিয়ে ছিল? তার এক হাজার বছর আগে থেকে।
যখন ভারতে সর্ব প্রথম হামলা ৭১১ খ্রীষ্টাব্দে
মুসলিম শাসক মুহম্মদ বিন কাশিম করেছিল, তারপর করেছিল মাহমুদ গজনবী, মুহম্মদ ঘোরী, চেঙ্গিজ
খান এবং এদের পরে হামলা করেছিল আইবেক কুতুবুদ্দীন , গুলাম বংশ, তুঘলক বংশ, খিলজী বংশ,
লোদী বংশ, এরপর ঘাঁটি গেড়ে বসে মুঘল বংশ । তখন এদের শাসন কালে ব্রাহ্মণদের কোন তীব্র
বিরোধিতা করতে তো দেখা যায়নি। বরং মুঘল শাসকদের দালালী করে ব্রাহ্মন আইনের নাম বদলে
হিন্দু আইন বানিয়েছিল। কিন্তু ইংরেজদের বিরুদ্ধে কেন তাঁরা ১০০ বৎসর পার হতে না হতেই
নগ্ন আন্দোলন শুরু করলেন বা সবাইকে উসকে ছিলেন? সকলেরই বোঝা দরকার আজ।
এখন সে সম্পর্কে গবেষনা করতে যে তথ্য সামনে
উঠে এসেছে তা সবার অবগতির জন্য তুলে ধরা হোল। বিখ্যাত ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. হীরালাল
যাদবের গবেষনায় উল্লেখ করা হয়েছে-
১) ১৭৭৩ সালে ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী রেগুলেটিং
এ্যাক্ট পাশ করেছিল । এতে ন্যায় ব্যবস্থা সবার জন্য সমান করার চেষ্টা হয়েছিল। [৬ই
মে ১৭৭৩ সালে এ আইনের ধারাতেই বাংলার সামন্ত শাসক (ব্রাহ্মণ সমাজের) নন্দকুমার দেবকে
ফাঁসিতে ঝুলতে হয়েছিল।]
২) ইংরেজরা ১৭৯৫ সালে অধিনিয়ম ১১ দ্বারা শুদ্রদেরও
সম্পত্তি রাখার আইন বানিয়েছিল। মনুসংহিতার সেই ব্রাহ্মন আইনটি (বর্তমানে যাকে হিন্দু
আইন বলা হয়) ভারতে সমাপ্ত হল।
৩) ১৮০৪ সালে ইংরেজরা অধিনিয়ম ৩ দ্বারা কন্যা
সন্তান হত্যার বিরুদ্ধে আইন বানিয়েছিল। ( তখন কন্যা সন্তান হতেই তালুতে আফিম লুকিয়ে
মায়ের স্তনে ধুতরো লাগিয়ে এবং গর্ত খোদাই করে তাতে দুধ ঢেলে ডুবিয়ে মারার প্রথা ছিল
বহু অঞ্চলে । )
৪) ১৮১৩ সালে ইংরেজ সরকার আইন বানিয়েছিল যাতে
জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে প্রত্যেকে শিক্ষার সমান সুযোগ পায়। অর্থাৎ আগে যা ছিল না। আগে
ব্রাহ্মন আইন অনুযায়ী শুদ্রদের জন্য শিক্ষা নিষিদ্ধ ছিল।
৫) ১৮১৩ সালে ইংরেজ সরকার দাস প্রথার বিলোপ
সাধনের আইনও তৈরী করে দেয় ।
৬) ১৮১৭ সালে সমান নাগরিক সুবিধা অধিকারের আইন
আরও মজবুত করল। ( ১৮১৭ সালের পূর্বে জাতির ভিত্তিতে শাস্তির বিধান ছিল। ব্রাহ্মণদের
জন্য কোন শাস্তি ছিল না। কেবল শুদ্রদের কঠোর দণ্ড দেওয়া হত। ইংরেজরা তা রোধ করে সবার
জন্য শাস্তির বিধান সমান করেছিল।
৭) ১৮১৯ সালে অধিনিয়ম ৭ দ্বারা ব্রাহ্মণ কর্তৃক
শুদ্র রমণীদের শুদ্ধিকরণের বিরুদ্ধে আইন তৈরী করে। ( তখন শুদ্রদের বিবাহ হলে শুদ্র
বধু স্বামীর ঘরে যাওয়ার পূর্বে কমপক্ষে তিনরাত ব্রাহ্মণকে শারীরিক সেবা দিতে হত। ইংরেজরা
আইন বানিয়ে তা বন্ধ করে)।
৮) ১৮২৯ সালের ডিসেম্বরে বিধবা দহনের বিরুদ্ধে
আইন তৈরী করে। এ আইনের মাধ্যমে সতীদাহ প্রথার বিলোপ করে ছিল। (ইংরেজরা না চাইলে রামমোহন
রায় কিছুতেই সফল হতেন না। তাই ইংরেজদেরকেও ক্রেডিট দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।)
৯) একই সালে (১৮২৯এ) তাঁরা দেবদাসী প্রথা বন্ধের
লক্ষ্যে আইন তৈরী করে। [সে সময় ব্রাহ্মণদের ইচ্ছায় শুদ্রদের স্বীয় কন্যাদের ব্রাহ্মণদের
মন্দিরে সেবার জন্য দিতে হত। মন্দিরের পূজারী তাকে শারীরিক শোষন করত। তার গর্ভে বাচ্চা
হলে হরিজন নাম দিয়ে ফেলে দেওয়া হত।
১৯২১ সালের জাতি ভিত্তিতে জনগণনা অনুসারে কেবল
মাদ্রাজেই জনসংখ্যা ৪ কোটি ২৩ লাখ ছিল। তার মধ্যে ২ লাখ দেবদাসী ছিল মন্দির সমূহে।
এ প্রথা এখনও দক্ষিন ভারতের কোন কোন মন্দিরে পরিলক্ষিত হয়।]
১০) ১৮৩০ সালে নরবলি প্রথা বন্ধ করে ইংরেজরা।
( সে সময় দেবী- দেবতাদেরকে প্রসন্ন করার জন্য ব্রাহ্মণরা মন্দিরে শুদ্র স্ত্রী-পুরুষ
উভয়ের মুন্ডু কেটে বলি দিত । )
১১) ১৮৩৩ সালে অধিনিয়ম ৮৭ দ্বারা সরকারী চাকরীতে
জাতি বর্ণের প্রাধান্যতা লোপ করে ধর্ম- বর্ণ নির্বিশেষে যোগ্যতা অনুসারে নিয়োগের অধিকার
আইন পাশ করা হয়।
১২) ১৮৩৪ সালে প্রথম ভারতীয় বিধি কমিশন গঠন
করা হয়। আইন বানানোর ব্যবস্থা জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও ক্ষেত্রের নিরিখে না হয়ে সবার জন্য
একই আইন বানানো ছিল এর উদ্দেশ্য।
১৩) ১৮৩৫ সালে প্রথম পুত্রকে গঙ্গা দান প্রথার
বিলোপে আইন তৈরী করা হয়। ( তার আগে ব্রাহ্মণদের হিন্দু নামে আইন বানিয়ে রেখেছিল শুদ্রের
ঘরে যদি প্রথম পুত্র হয় তাকে গঙ্গায় ফেলে দেবে। কারণ সাধারণত: প্রথম পুত্র হৃষ্ট পুষ্ট
হয়েই জন্মায়। সে পুত্র ব্রাহ্মণের সাথে লড়াই করতে সাহস না করে তাই গঙ্গা দান প্রথা
চালু করেছিল।)
১৪) ১৮৩৫ সালের ৭ই মার্চ লর্ড ম্যাকেন রাজ্যের
শিক্ষা নীতি বানিয়েছিল এবং তাতে উচ্চ শিক্ষার মাধ্যম করেছিল ইংরেজী।
১৫) ১৮৩৫ সালে আইন বানিয়ে ইংরেজরা শুদ্রদের
চেয়ারে বসার অধিকার দিয়েছিল।
১৬) ১৮৪৯ সালে কলকাতায় এক বালিকা বিদ্যালয় জে
ই ডি বেটনের দ্বারা স্থাপিত হয়।
১৭) ১৮৫৪ সালে ইংরেজদের দ্বারা ভারতে তিনটি
বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়। সেগুলি হল কোলকাতা, বন্বে ও মাদ্রাজে। ১৯০২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়
কমিশন নিযুক্ত করেছিল।
১৯) ১৮৬০ সালের ৬ই অক্টোবর ইংরেজরা ইণ্ডিয়ন
পেনাল কোড বানিয়েছিল। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা শুদ্রদের উপর অত্যাচারের অবসান
করে লর্ড মেকলে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকের জন্য একই ক্রিমিনাল আইন চালু
করেন। আগে শাস্তি হোত জাতি / বর্ণ দেখে।
২০) ১৮৬৩ সালে ইংরেজরা আইন তৈরী করে চড়ক পূজার
উপর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
( সে সময়
আলিশান ভবন এবং সেতু তৈরী করতে কোন অসহায় শুদ্রকে ধরে নিয়ে জীবন্ত বলি দেওয়া হত। ব্রাহ্মন
শাসনে পুরোহিতরা প্রথা বানিয়ে ছিল যে -এ পূজা দিলে ভবন এবং সেতু বেশীদিন টিকে থাকবে।)
২১) ১৮৬৭ সালে বহু বিবাহ বন্ধ করতে বাংলার সরকার
এক কমিটি গঠন করেছিল।
২২) ১৮৭২ সালে Civil Marriage Act দ্বারা ১৪
বছরের কম বয়সের কন্যাদের এবং ১৮ বছর বয়সের কম
ছেলেদের অর্থাৎ বাল্য বিবাহ রোধ কল্পে আইন তৈরী করে।
২৩) ইংরেজরা মাহার এবং চামার রেজিমেন্ট বানিয়ে
সেনাবাহিনীতে এ জাতিদ্বয়কে ভর্তি করেছিল। কিন্তু ১৮৯২ সালে ব্রাহ্মণ্যবাদীদের বিদ্রোহে
অচ্ছুতদের (S C দের) ভর্তিতে রোধ লেগেছিল।
২৪) রেয়ত বাণী পদ্ধতি বানিয়ে ইংরেজরা রেজীষ্ট্রীকৃত
প্রত্যেক ভূমিদারকে ভূমির মালিক স্বীকৃতি দিয়েছিল।
২৫) ১৯১৮ সালে সাউথ বরো কমিটিকে ইংরেজরা ভারতে
প্রেরণ করেছিল। এ কমিটি ভারতে সব জাতির বিধি মণ্ডলের ( আইন বানানোর সংস্থা) জন্য এসছিল।
শাহুজী মহারাজের আগ্রহে অশ্পৃশ্য নেতা ভাষ্কর রাও জাধব এবং বঞ্চিত বহুজন নেতা ড. আম্বেদকর
সর্বহারাদেরকে বিধি মণ্ডলে ভাগীদারী করার জন্য মেমোরেণ্ডাম দিয়েছিলেন।
২৬) ১৯১৯ সালে ইংরেজরা ব্রাহ্মণদের বিচারক পদে
নিয়োগে বাঁধা প্রদান করে। কারণ হিসেবে বলেছিল ব্রাহ্মণদের অন্তরে ন্যায়িক চরিত্র হয়
না।
২৭) ১৯২৭ সালে ইংরেজরা আইন বানিয়ে শুদ্রদের
সার্বজনীন স্থানে যাওয়ার অধিকার দিয়েছিল। অর্থাৎ যা আগে ব্রাহ্মন আইন অনুযায়ী মানা
বা নিষেধ ছিল।
২৮) ২৫শে ডিসেম্বর ১৯২৭ সালে ড. আম্বেদকর ব্রাহ্মনদের
আইনের গ্রন্থ মনুস্মৃতি দহন করেছিলেন। মনুস্মৃতিতে শুদ্র এবং সকল মহিলাদের গোলাম তথা
ভোগ্য পণ্যরূপে গণ্য করা আছে। তাতে বলা আছে একজন পুরুষ অগণিত বিয়ে করার ধার্মিক অধিকার
আছে। মহিলারা অধিকার বিহীন দাসী সমতুল্য। আবার এক এক মহিলাকে অগণিত পুরুষের সাথে শুতে
হত তাদের অন্য আইন দ্বারা এবং বলা হত শুদ্র মহিলাগণ কেবল গোলামীর জন্যই পাঠানো হয়েছে।
সেই গ্রন্থকে ব্রাহ্মনরা মনু-ধর্ম গ্রন্থের রূপ দিয়ে রেখেছে।
২৯) ১ লা মার্চ ১৯৩০ সালে ড. আম্বেদকর নাসিকে
কালা রাম মন্দিরে প্রবেশের আন্দোলন চালিয়েছিল্ন। কারণ তিনি এই ব্রিটিশ সরকার সহ এই
দুনিয়াকে সত্যটা জানাতে চেয়েছেন প্রমাণ দিয়ে যে দলিত বহুজনরা আদৌ হিন্দু নয় ।
৩১) ১৯২৭ সালে নভেম্বর মাসে ইংরেজরা সাইমন কমিশনের
নিযুক্তি করেছিল। তাঁরা ১৯২৮ সালে ভারতে সর্বহারা অস্পৃশ্য লোকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা
এবং তাঁদেরকে কিছু বিশেষ অধিকার দেওয়ার জন্য এসেছিল। ভারতের অসহায় সর্বহারা মানুষকে ইংরেজরা যাতে অধিকার না দিতে পারে
তার জন্য সাইমন কমিশন ভারতে পৌঁছনোর সাথে সাথেই মহাত্মা(?) গান্ধী এবং লালা লাজপত রায়রা কমিশনের বিরুদ্ধে জোরদার বিরোধ করেছিলেন।
যার কারণে সাইমন কমিশন তাঁদের অসমাপ্ত রিপোর্ট নিয়ে ভারত ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল।
এ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ইংরেজরা ভারতীয় প্রতিনিধিদের ১২ই নভেম্বর ১৯৩০ সালে
লন্ডনে গোলমেজ সম্মেলনে (RTC) ডেকেছিল।
৩২) ২৪ সেপ্টেম্বর ১৯৩২ সালে ইংরেজরা ড আম্বেদকরের
যুক্তি খন্ডন করতে না পেরে কম্যুনাল এওয়ার্ডের কথা ঘোষনা করেছিল। সেখানে প্রমুখ অধিকার
ছিল নিম্নরূপ:-
ক) বয়স্ক
মতাধিকার
খ) বিধান
মন্ডল এবং কেন্দ্রীয় সরকারের জনসংখ্যা অনুসারে অস্পৃশ্যদের সংরক্ষনের অধিকার
গ) শিখ,
ঈসাই এবং মুসলিমের মত অস্পৃশ্যদেরও ( SC/ST) স্বতন্ত্র নির্বাচন ক্ষেত্রের অধিকার আছে।
সেখানে কেবল SC/STরাই দাঁড়াতে পারবে এবং তাঁকে sc/st রাই নির্বাচিত করতে পারবে।
ঘ) প্রতিনিধিদের
নির্বাচনের জন্য দু’বার ভোটের অধিকার দেওয়া হয়েছিল SC/STদেরকে । যাতে একবার কেবল নিজেদের
সংরক্ষিত প্রতিনিধিদের নির্বাচন করবে এবং দ্বিতীয়বার সাধারণ প্রতিনিধিদের ভোট দেবে।
৩৩) ১৯শে মার্চ ১৯২৮ সালে বিনা পারিশ্রমিকে
বেতন কাটানোর বিরুদ্ধে ড. আম্বেদকর মুম্বাই বিধান পরিষদে আওয়াজ উঠিয়েছিলেন । এরপর ইংরেজরা
এ প্রথার সমাপ্ত করে।
৩৪) ১ লা জুলাই ১৯৪২ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬
পর্যন্ত ইংরেজরা ড. আম্বেদকরকে তার যোগ্যতাকে সম্মান দেবার জন্য ভাইসরয়ের কার্যকরী
কাউন্সিলে লেবার মেম্বার পদে নিযুক্ত করে। সেখানে থেকে ড.আম্বেদকর লেবারদের শতকরা ৮.৩
সংরক্ষন দিয়েছিলেন।
৩৫) ১৯৩৭ সালে ইংরেজরা ভারতে প্রভিন্সিয়ল নির্বাচন
করিয়েছিল। যেটায় ব্রাহ্মনরা অশনি সংকেত দেখতে পেয়েছিল।
৩৬) ১৯৪২ সালে ড. আম্বেদকর ইংরেজদের কাছে ৫০
হাজার হেক্টর ভূমি অচ্ছুত এবং পিছড়া বর্গদের বন্টনের জন্য আবেদন করেছিলেন। ইংরেজরা
তা ২০ বছরের মধ্যে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
৩৭) ইংরেজরা শাসন-প্রশাসনে ব্রাহ্মণের ভাগীদারী
শতকরা ১০০ হতে ২.৫ নামিয়ে এনেছিল, যেটা তাঁদের তখনকার জনসংখ্যা অনুপাতে ঠিক ছিল।
এইসমস্ত কারণে ব্রাহ্মণেরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন করেছিলেন কেননা ইংরেজরা শুদ্র এবং মহিলাদের সকল অধিকার প্রদান করার চেষ্টা করেছিল এবং সব জাতিদের সমান অধিকার ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিল।
******