অন্তরা তুমি
মীর সাহেব হক
তের বারো দু'হাজার
একুশ সোমবার
সকাল এগারোটা ছাব্বিশ
।
ঘরে এলো আত্মার আরতি
সীমাহীন ভালোবাসার
ফুল।
বিকেলের ছায়ায়
সূর্যের সাত রঙে
এঁকে দেওয়া স্বপ্নপুরী
আকাশ।
তুমি বুঝে নিও
'জীবন হল অনিবার্য
এক যুদ্ধ ক্ষেত্র'।
আর আত্মখননই জয়ের
নিশ্চিত দিশা।
পথ চলতে দেখোনা কখনো
ক্লান্তি অথবা হতাশার
বিদিশা।
তোমার মাঝেই খুঁজে
পাবে
বিজয়ী সভ্যতার চাকা।
জীবন পথের অন্তবাঁকে
যেওনাকো থেমে
তুমি হবে অমূল্যধন
অন্য ধনের চেয়ে।
'ফুল চন্দনে'বেড়ে
উঠো
মনের বড়ই আশা
দোয়া ,আশীর্বাদ
রইল
অন্তপুরের ভাষা।
মীর অন্তরা ভালো
থাকো
সবার ভালোবাসা।
********
মীর সাহেব হক
ঘর সাজাতে ভেঙে ফেলে ডেসিং
টেবিলের কাচ।
মৌচাকে ঢিল মেরে
উড়িয়ে দেয় কানামাছি।
বালিশের তলায় নিয়ে
ঘুমায় বিষাক্ত সাপ।
বেহুশ, নির্লজ্জ
বলে ডাকে শুধু তার ভুলের জন্য।
এখন ভুলকে ভুল বলেনা কেউ।
তার আধখানা বুকের ছেদ, যতি হারিয়ে যায়।
গুমড়ে মরে নিঃশব্দ
গর্জন।
এই অন্ধকারে কাকে
ছুঁতে চায় তার মন।
শুধু ভুল করে, ফুল
তুলতে তুলে আনে আগুন!
আমি তাকে খুঁজি,
যে ভুল করে বুকে জ্বেলে দেবে আগুন।
*********
ভালো নেই
মীর সাহেব হক
ভালো নেয় আমরা!
মাথার দিকে নেমে আসছে
আকাশ
পায়ের তলায় অসংখ্য
মৃত্যুর ছাপ।
শাসনের সব ইতিহাস
কেবল কথা দিয়ে কথা
ঢাকা
রাষ্ট্রের কলম যেন
ধ্বংসাত্মক ছোরা!
বসত বাড়িতে নিয়েছে
সাপেরা আড্ডাখানা
যেদিকে তাকাই শুধু
বিষধর সাপ!
সারা শরীরে উত্তপ্ত
লোহার ছ্যাকা
পচা কাঠের মতো কাঠঠোকরা
ঠুকরে খাচ্ছে চোখ
হৃদয় আটা হচ্ছে গম
ভাঙ্গা কলে!
মাঠে এখন উৎপাদন বেশি
অধর্ম আর অপরাজনীতির!
ফলন্ত যৌবন বেঁচেছি
অসহায় বার্ধক্যের দরে
আর সস্তা প্রলোভনে
মাছের মতো টোপ খেয়ে
ঢেকুর তুলছি বেশ!
চারিদিকে লতাজাতীয় গাছ
যার তলায় দিন কাটাবো
সেই বৃক্ষ কোথায়?
সামনে কোন নৌকা নেই
অথবা নাবিক
দূষিত জলের সাঁতার কেটে
গোটা শরীর বিষাক্ত বিষ!
ভেতরে জ্বলছে দাবানল
শুধু পুড়ে আর পুড়ে
নেভেনা মানবতার আগুন।
ভালো নেই আমি
ভালো নেয় আমরা!