হজরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর
কাব্যজীবনী
আব্দুল্লাহ আল আযীয
পর্ব – ৩
বিসমিল্লাহির রহমানির
রহীম
“হে আমাদের পালনকর্তা!
আপনি তাদের মধ্য হ’তে একজনকে তাদের মধ্যে রাসূল হিসাবে প্রেরণ করুন, যিনি তাদের নিকটে
আপনার আয়াত সমূহ পাঠ করে শুনাবেন এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমত (সুন্নাহ) শিক্ষা দিবেন
ও তাদেরকে পরিশুদ্ধ করবেন” (বাক্বারাহ ২/১২৯)।
ক্রমান্বয়
[বিঃদ্রঃ
: নবীজির নাম এলে সাঃ এবং অন্যান্য
নবীর
নাম এলে আঃ পড়া আবশ্যক]
এই পৃথিবীর প্রথম
মানুষই খোদারও প্রথম নবী
তাঁহারই বক্ষে প্রথম
জ্বলেছে দ্বীন ইসলামের রবি।
ক্রমে ক্রমান্বয়ে
যুগের আবহে দ্বীনের বিপর্যয়ে
সোয়া লক্ষ এসেছেন
নবী খোদার বিধান লয়ে।
আদম হইতে ইব্রাহিম
অবধি প্রেরিত যে নবীগন
সংখ্যায় তাঁরা সীমিত
কেবল আট থেকে নয় জন।
জাতির পিতা খলিলুল্লাহর
ছিলো দুই সন্তান
ইসমাঈল আর ইসহাক
নাম ইতিহাসে প্রণিধান।
সহোদর নন তাঁহারা
ছিলেন বৈমাত্রেয় ভাই
দুজনই ছিলেন আল্লাহর
নবী কুরআনের সংজ্ঞায়।
তাঁহাদেরই থেকে দুইটি
ধারা পৃথক হয়ে গেছে চলে
পরিচিত তাঁরা বনু
ইসমাঈল ও বনু ইসরাইল বলে।
হাজেরা ছিলেন জবিহুল্লাহ
ইসমাঈলের মাতা
ইসহাক নবীর আম্মা
ছিলেন সারা নামে পরিচিতা।
তাঁহার পুত্র হজরত
ইয়াকুব তিনিও ছিলেন নবী
প্রায় সমুদায় পয়গম্বর
তাঁরই গোত্রের সবই।
'ইসরাইল' নামে অবিহিত
নবী ইয়াকুব বিশ্বময়
'বনু ইসরাইল' এই
নামে তাঁর গোত্রের পরিচয়।
ইউসুফ, মুশা, হারুণ,
দাউদ, সুলাইমান ও ঈসা
এই গোত্রের পয়গম্বরে
ইহারা প্রথিতযশা।
সোয়া লক্ষ নবীর মধ্যে
আর দুইজন ছাড়া
বনু ইসরাইল গোত্রী
সবাই একই বংশধারা।
এই ধারাতে ক্রমাবির্ভাবে
শেষ নবী হলো ঈশা
বিশ্বে বিদিত আল্লাহর
বানী তাঁর ছহিফার ভাষা।
বিশিষ্ট ও অবিসংবাদিত
তাঁর এই ছহিফায়
আখেরি নবীর আবির্ভাবের
সুসংবাদও পাই।
আপন গোত্রের সম্মুখে
তিনি দিয়েছেন এ সংবাদ
আমার পরেই আগমন যাঁর
নাম তাঁর আহমাদ।
তাওরাতের এই সত্যনকারী
বলেছেন এই কথা
বলেছেন তাঁর আগমনে
আমি শুভসংবাদদাতা।
তাঁরই পরে পরে রাসূলুল্লাহ
এসেছেনও দুনিয়াতে
আল কুরআনের পরিপূর্ণ
জীবনবিধান সাথে।
বনু ইসমাঈল গোত্রে
তিনিই অনন্য ও শ্রেয় সবই
সমুদায় নবী-পয়গম্বরে
তিনি খাতামন্নাবী।
রাসূলুল্লাহর আগমনক্রমে
ইব্রাহিমের পরে
ইসমাঈলই হলো নির্বাচিত
ইলাহীর দরবারে।
ক্রমাবির্ভাবে এর
পরে বনু কানানাহর সমাবেশ
বনু কানানাহর পরে
সমন্বিত হলো বনু কুরায়েশ।
বনু কুরায়েশ থেকে
বনু হাশিমকে করিয়া নির্বাচন
মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর
দুনিয়ায় আগমন।
খলিলুল্লাহর আকাঙ্খা
আর ঈশার সুসংবাদ
সমন্বিত হইয়া ধরায়
এলেন মুহাম্মাদ।
খলিলুল্লাহ ও জবিহুল্লাহ
আল্লাহর দরবারে
বায়তুল্লাহর নির্মাণ
কালে চাহেন সমস্বরে।
পিতা-পুত্রে চাহেন,"প্রভু
তাহাদের সম্মুখে
রাসূল একজন করুন
প্রেরিত তাদেরই মধ্য থেকে।
যিনি আপনার আয়াত
সমূহ শুনাবেন পাঠ করে
কিতাব ও সুন্নাহ
দিবেন শিক্ষা পরিশুদ্ধতা তরে।"
আর্জি তাঁদের পূর্ণ
হয়েছে হাজারও বছর গিয়ে
বিশ্বনবী এসেছেন
তাই আব্দুল্লাহরই গৃহে।
আসিলেন প্রিয় 'হা-শিরুম
মা-হি' সত্যের অবিধায়
উজ্জীবিত করিতে ভূবনে
অখিল সম্প্রদায়।
জাযাকাল্লাহু খাইরান
ReplyDeleteজাযাকাল্লাহু খাইরান
ReplyDeleteজাযাকাল্লাহু খাইরান
ReplyDeleteজাযাকাল্লাহু খাইরান
ReplyDelete