অনুগল্প
মানবিকতা
সুস্মিতা
"এই
পটলা... ছুটে আয় দেখি একবার এদিকে... তাড়াতাড়ি আয়"- ডাক শুনে রেবাকাকিমার ঘরের
দরজায় গিয়ে দাঁড়াতেই কাকিমা পটলার হাতে একটা টিফিন ক্যারিয়ার ধরিয়ে দিলেন। গলা নামিয়ে
বললেন- "শোন পটলা, এর মধ্যে ভাত, ডাল আর আলুর তরকারি আছে, চুপিচুপি এই খাবারগুলো
গোলাপি চামেলিদের ঘরে পৌঁছে দিয়ে আয় তো। আমি দিয়েছি বলবিনা যেন, আর এই খাবার পাঠানোর
কথা কাকপক্ষীতেও যেন টের না পায়। লকডাউনের বাজারে মাগীগুলোর খদ্দেরও জোটেনা, খাবারও
না।"
পটলার
মুখটা পুরো হাঁ...
লকডাউনের
ঠিক আগে, গত জানুয়ারিতেই দীপুকাকা গভীর রাতে গোলাপি দিদির ঘর থেকে মাল খেয়ে টলতে টলতে
ফিরেছিল। রেবাকাকির তখন সে কি রণচন্ডী মূর্তি ! কাকাকে ওই শীতে সারারাত ঘরে ঢুকতে দেয়নি...
আজ কাকির
মুখটা ঠিক মা দুগ্গার মতো দেখাচ্ছে...
Tags:
শরৎ সংখ্যা - গল্প