সূর্য প্রেমিক সেলিম শাহরিয়ার

 

সূর্য প্রেমিক

 সেলিম শাহরিয়ার

 

ভোরের সুবর্ণরেখায় দেখা হল কমলা সাগর 

উপচে পড়া চোখ মেরে

স্মৃতি পর্ষদের দেওয়া স্মারক লিপি ভুলে গিয়ে 

আত্মতাড়নার প্রথম বিচ্যুতি কিভাবে প্রসারিত হল 

 সে কথা বলার এটাই তো সময়

এটাই তো সময় সে কথা শোনার।

 

সান্নিধ্য ভবনে উঠল পূর্ণিমার চাঁদ, আর

অনিশ্চয়তার শোকে উথলে উঠলো সান্ধ্য দশা

সে দশার আলো আত্মোহারা হল যেভাবে

এটাই তো সময় সে কথা বলার।

 

বিপ্লবের আকাশ সীমা কেউ কেউ বোঝে 

তবুও তো কেউ কাউকে বোঝে না

আজও যার বিসর্জনের পরে তৃষ্ণার ঢেউ উঠে

 মোহিত হয়ে যাওয়ার উপখ্যান শুনতে শুনতে,

কম খরচে রূপকথার গন্তব্যে পৌঁছে যায়,

দুঃসময়ের বৈধতা দেওয়ার শক্তি থাকলে,

তখনই বলে দিতাম বহুবর্ণ বিষাদগুলোর স্বপ্ন বিরাগ। 

আসলে এটাই তো সময় সে কথা বলার

 

ভোররাতের বন্ধুকুহেলী ভেদ করে সুবর্ণরেখা সেতুর নিচে সূর্য উঠলো

আর তখনই সুনয়নের পাশে বসে থাকা চাঁদের আলোর আবছায়া থেকে

বেরিয়ে এল আপন মনের সাসপেনশন সেটআপ

চিতল মাছ ভাজার গন্ধ না পেলেও, 

রাতের চাদরে ভেঙে গিয়েছিল মেঘ।

আর কাজল চোখের নবীন ইশারায়

সূর্য প্রেমিকের চাহিদা মেটাবে কে

সে কথা বলার এটাই তো সময়।

এটাই তো সময় সে কথা শোনার।

 

আমার যাত্রাপথ বদলের পরেও যখন 

রহস্যের বদল হল না, 

দূরপাল্লার স্বপ্নগুলো হয়ে উঠলো কাঙালের দিনলিপি।

অসংখ্য নামহীন অনুভবের দুর্ঘটনা  স্পন্দিত হল

ছন্দে ফিরে আসার ছায়াপথ পার করে এসে বুঝলাম, 

পার্থিব অভিমান হয়তো নিয়তির কোলে বাঁধা।

খেলার ভেতর বাস্তবতার বলি।

যদিও এটাই সেই সময় সে কথা বলার,  

কিন্তু তাকেও হয়ত এখানেও থেমে যেতে হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post