রোদন-ভরা বসন্ত
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জী
চেষ্টার শেষ প্রান্ত
ফেরে কখনও খালি পাত্রে, এক সময়,
তবু শেষ প্রান্তের
ভিক্ষুক হতে কারুর মন লজ্জার, ব্যথায়--।
সময়টা আঁকড়ে ধরতে
গিয়ে প্রবল শৈত্যে একদার উষ্ণতা—
এক লহমায় এক পূর্ণ
শশী, গড়িয়ে সমুদ্রের গভীরতায়—
ফেরার-----, কোন
গুপ্তপথে, অন্য জ্যোৎস্নায় কি ভেজায়!
আলোক- আভাষে প্রেয়সী,
অধীরতায়—
জীবনের সুরে ভাসে
একাকী অপেক্ষায়,
সোনালী বিভায়,
অসময় ঝঞ্ঝা, নিভালো
সেথায় লজ্জা, -- শশী--প্রেমশিখা,
নিছক উপমা!
অবাধ বর্ণের নিস্ফল
যতো ঘোরাঘুরি --,
একাকীত্বর অঙ্গ শুধু
ছোঁয় নিস্তব্ধতা ---
আজো আছে সূর্য ওঠা--সূর্য
ডোবার আবীরে রাঙানো বেলা—
সূর্য ডোবে আজ ও
ঐ নদী ডোবা-সাগরের জলে,
মিঠে-- লোনা জলে---
আকাশ রাঙে-, রামধনু রঙে,
ধরনীকে আলিঙ্গনে
ধরে বক্ষপরে, কোন দিকশূন্যপুরে,
কি যায় আসে নিঃসঙ্গ
জীবনে -, স্তব্ধতার ঘরে!
লুকোতে চায় সব আজ
মুখ নীচু করে—
মনে শুধু রয়ে গেছে
কিছু ছবি, মুছে ও যারা রয়ে গেল,
বারে বারে দিয়ে যায়
উঁকি--,
সবাইকে বলে যাই,
নেই চোখে কোনো বারি,
তুমি ভালো থেকো,
আমি ভালো আছি।