শয়তানের পাঠশালা
আজিজুল হাকিম
নীল
নদ-সম সময় প্রবাহের সুদীর্ঘ যুগ পথে
গোলাপের
ডালি হাতে
শাসকের
স্বর্ণ রথে
নির্যাতিত,
নিপীড়িত, বঞ্চিত, সর্বহারার বুকে
মুক্তির
স্বপ্ন চুমি
ছুটে
গেছ তুমি
ছিঁড়ে
হাজার বছরের বৈষম্যের শিকল
ওহে
সুলতান, ওহে মোঘল !
সাড়ে
সাতশ বছরের আলোক-রশ্মি সুখে
জেগে
উঠেছিল সমতার কলরব ।
শিল্পের
রং-তুলি নিয়ে
ভাস্কর্যের
বিস্ময় মাখা হাতে
ঝলসে
উঠেছিল নব গৌরব -
বিশ্বের
বিস্ময় ওই শ্বেত-শুভ্র মর্মর তাজমহল
যার
পরিচয়ে আজও এ দেশ হাসে সমুজ্জ্বল ।
নব
অহংকার বুকে জেগে উঠেছিল আমার ভারতবর্ষ;
অবাক
বিস্ময়ে, নিস্পলক নয়নে তাকিয়ে ছিল তাবৎ বিশ্ব ।
সেই
সাড়ে সাতশ বছরের গর্বিত অধ্যায়
মুছে
ফেলতে চায়
রাজনৈতিক
কুচক্রী শয়তান ।
মিথ্যে
ইতিহাসের হাট বসে
শয়তানের
পাঠশালায়;
যেখানে
নায়ক হয়ে যায় খলনায়ক,
আর
খলনায়ক হয়ে যায় নায়ক ।
অসাম্প্রদায়িক
উর্বরা শিশু মনে
পুঁতে
দেওয়া হয় সাম্প্রদায়িকতার বিষাক্ত বীজ,
আবেগি
শিশু-বুকে জ্বালাতে চায় হিংসার বিধ্বংসী আগুন;
রক্ত
টগবগ করে মিথ্যে পাঠের পাঠশালায় ।
সাগরের
ওপার হতে দানবের হাততালি শোনা যায় ।
স্বদেশ
বুকে অনাগরিক সার্টিফিকেট হাতে
অসূর্যম্পশ্য
জীবন কাটায় ডিটেনশান ক্যাম্পে
সুলতান
আর মোঘল সন্তান;
বাস্তুহারা
মানুষের ক্রন্দনে বাতাস ভারাক্রান্ত হয়
ভাঙনের
মাতম চলে দেশ-বুকে ।
আর
এদিকে,
ক্ষুধাতুর
মানুষের গগনভেদী আর্তনাদ চাপা পড়ে যায়
শয়তানের
নির্লজ্জ অট্টহাসির সুখে ।
রচনাঃ ১৮/০৯/২০২০
শুক্রবার