শীতঘুমের নারী
এবাদুল হক
মৌমৌ মুখর ফুলেল
সুবাস যেন অতি পরিচিত
আমার ঘর ও বাহির
আমার দেহভাণ্ডের বাহির
অথবা ভিতর সমান,সম্পর্কে
ছায়ামেদুর স্থিরতায়
শীতঘুমের চাদরে বরফ
কুয়াশা জমে উঠলে
শীতঘুমে আচ্ছন্ন
নারীদের চুল থেকে বৃষ্টি পড়ে
বরফবৃষ্টি ঘনতম অস্থিরতা
জলজ প্রবাহ ভৌগলিক।
জল বিভাজন তত্ত্বগত
সূত্রের ধার ধারেনি স্বাভাবিক
নারীরা বৃষ্টিতে
ভিজে সৌরভের অধিকারী হয়
গন্ধে বিহ্বল হয়ে
ওঠে ভ্রমর সকল বিমোহিত।
শীতের বৃষ্টি ফোঁটা
কতখানি সুখের আভাস আনে
শীতঘুমে নিমজ্জিত
নারীদের অজানাই থেকে যায়।
নারীরা ঘুমের ঘোরে
ঘোষণা করে মেঘের অশেষ অহংকার
নারী তখনও বোঝেনি
অসময়ে বৃষ্টি বৃদ্ধির যথার্থতা
হে নারী কেন তুমি
রচিত মৃত্যুর পেছনে ছুটে যাও?
মেঘের গভীরে ঢুকে
পড়েছে একটা সুচতুর অথচ উদাসী চিল
চিলের ডানাগুলি বরফকুচি
ঝেড়ে আরও উর্দ্ধাকাশের ভিতর
যেতে যেতে বৃষ্টির
বান আনে জগৎ সংসার শীতবৃষ্টির কাঁপনে নাচে
নারী তুমি চিলের
সহোদর হলে কিছুই বলার থাকেনা।
চিলচিৎকারে আকাশ
মাটি বনাঞ্চচল সাগর নদী সবকিছু কাঁপে
মৌমাছি ভ্রমর ভ্রমণ
পরিক্রমা অসমাপ্ত রেখে গুহামুখে
আর আমি আমার অস্তিত্ব
তোমার লেপের মধ্যে রেখে দিই।
আমার চেতনাগুলি বরফ
বৃষ্টি আঘাতে চূর্ণবিচূর্ণ হয়।
ভেঙে পড়ে আকাশচুম্বি ইমারত লালসার কোপে ঠিক যেন মনসাক্রোধ।