আজিজুল হাকিম
~~~~~~~~~~~
তোমার যাদুমাখা তৃষ্ণার্ত
হরিণ চোখ
পড়ে আছে সোনালি স্বপ্নচারী
যুবকের চোখে;
লালিত স্বপ্নগুলো
পুড়ে যাচ্ছে, ধ্বংস হচ্ছে
উজ্জ্বল সম্ভাবনাময়
ভবিষ্যৎ - যুগের পর যুগ ।
বাহারি মার্সিডিজের
সানগ্লাস পেরিয়ে বেরিয়ে পড়ছে
তোমার আধেক ল্যাঙট
দেহ ,
মুখে এক ঝলক ফাগুন
মাখা মায়াবী হাসি;
সুপ্তপ্রায় পুরুষগুলিও
আড়মোড়া দিয়ে উঠে
তোমার নারীত্বের
রোদ বারান্দায় ।
নষ্টা পৃথিবীর মতো,
নষ্টা রাষ্ট্রের
মতো,
নষ্টা দেশের মতো
উষ্ণ গোলাপি হাতছানি দাও আমায় ;
তাহলে তো আমি বীর
হবই ।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে
সাইন বোর্ডে,
চায়ের কাপে টিভির
স্ক্রিনে,
যখন তোমার নির্লজ্জ
নগ্ন উরুদ্বয়
আর বুক কাটা কামিজের
ভাঁজে
সাগরের চোরা ঢেও
তোলপাড় করে
তোমার দেহে নিষিদ্ধ
নোটের পারফিউম
ওষ্ঠাধারে কালো টাকার
চড়া লিপিস্টিক
চুরির কিঙ্কন আওয়াজ
মাথায় দামি স্যাম্পুর
আপ্রান প্রচেষ্টায়
তোমার চুলে নেমে
আসে গোধুলি বেলার সোনালি মেঘ
কাশফুলের উথাল পাথাল
চলে অবাধ্য চুলের বিন্যাসে
জমকালো শাড়ির পরাধীন
আঁচলে বেঁধে রাখো একটি ব্রেস্ট
অন্য ব্রেস্টটি খোলা
আর তখনই আমিও হয়ে
যাই পথ ভুলা -
ভুলে যাই আমার শত
শতাব্দীর ক্ষুধাতুর কান্না ।
কেবল মনে পড়ে, একটি
সৌখিন সোনালি চলমান ডাস্টবিন
সুগন্ধি আতরের সুবাস
বাতাসে ছেরে
ঢেকে রাখে অতি নোংরা,
পচা, গলিত, নষ্টা দেহ ।
চির যুবতী পৃথিবীর
মতো,
চিরকুমারী রাষ্ট্রের
মতো
তুমি অধিগৃহীত হও,
নষ্টা হও বরাবর;
তবুও লাল, নীল হলুদ
সবুজ উত্তরীয়
উড়ে চলে উদ্দাম বাতাসে,
ঝরে পড়ে অমৃত সুধা
পার্বত্য স্তনচূড়া হতে;
কেবল জন্ম নেয় জারজ
সন্তান ।
সেই জারজ সন্তানের
মুখে ধর্মের বাণী
বয়ে বেড়ায় নিরুপায়
বাতাস গ্রাম, গঞ্জ, নগরের বুকে,
সীমান্তে সীমান্তে
।
একান্নবর্তী দেশে
চিড় ধরে বরাবর;
সূর্য মুখ ঢাকে চিরতরে
সাগরের পরপারে --
অমাবস্যার চির অন্ধকার নেমে
আসে দেশ-বিভূঁই-চরাচরে ।
স্থান - নিজ বাসা
রচনাঃ ২২/০২/২০২০
ভোররাত